করোনা প্রতিরোধে আমাদের সর্বশক্তি নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ছি, পাশে পেয়েছি গাক’কে- বগুড়ার ডিসি
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঘরে-বাইরে সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক।
তিনি বলেন, নিজেকে সুস্থ ও করোনামুক্ত রাখতে মাস্কের কোনো বিকল্প নেই। মঙ্গলবার দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) কর্তৃক করোনা প্রতিরোধে বগুড়া জেলার বিভিন্ন এনজিও সমূহের মাঝে এক লাখ উন্নতমানের মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, করোনা প্রতিরোধে যেসময় আমরা সর্বশক্তি নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ছি, সেই সময় সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বগুড়ার মানুষের মধ্যে এক লাখ মাস্ক বিতরণ করছে গাক। গাক এর মত অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাকেও এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভুল তথ্য ও গুজব নিরসণে সবাইকে কাজ করার আহবানও জানান তিনি।
টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বলেন, টিএমএসএস করোনা প্রতিরোধে প্রথম থেকে কাজ করছে, ভবিষ্যতেও জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গাক এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন বলেন, দেশের সব মানুষ করোনা টিকার অধীনে না আসা পর্যন্ত, মাস্ক পরার কোন বিকল্প নেই। সামাজিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে গাক মাস্ক বিতরণ অব্যাহত রাখবে।
গাক প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম পিন্টু ও সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ মোঃ কাওছার রহমান বক্তব্য রাখেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গাক এর সিনিয়র পরিচালক ড. মাহবুব আলম। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী উপস্থিত ছিলেন জনাব আসিফ আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শাজাহানপুর, বগুড়া। গাক কর্তৃক মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে বগুড়ার ৬৩ টি এনজিও’র নির্বাহী পরিচালকসহ উপস্থিত ছিলেন গাক এর পরিচালক (সোশ্যাল) রশিদুল ইসলাম, পরিচালক (এমএফ) পঙ্কজ কুমার সরকার, পরিচালক (এসএমএপি) আবু রায়হান মিঞা, পরিচালক (প্রশাসন ও মনিটরিং) হজকিল মো. আবু হাসান, পরিচালক (আইসিটি এন্ড আরএম) রাইহানুস-সাআদত, সি.সহকারী পরিচালক আরমান হোসেন, পরামর্শক মোবারক হোসেন তালুকদার, সমন্বয়কারী-কমিউনিকেশন ও ডকুমেন্টেশন সরদার জিয়াউদ্দীনসহ প্রধান কার্যালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।