বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের গাক ভিজিট

জনাব মোঃ আব্দুল হাকিম, মহাব্যবস্থাপক ও বিভাগীয় প্রধান (কৃষিঋণ বিভাগ), বাংলাদেশ ব্যাংক এর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টীম গত ১৫ জানুয়ারী ২০২২ তারিখে সংস্থার প্রধান কার্যালয়, গাক টাওয়ার, বনানী, বগুড়ায় আগমণ করেন এবং সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন, সিনিয়র পরিচালক ড. মোঃ মাহবুব আলম, অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ ও সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। মতবিনিময় সভায় মহাব্যবস্থাপক মহোদয় এসএমএপি প্রকল্পের আওতায় কৃষি, প্রাণি ও কৃষি যন্ত্রপাতি খাতে প্রদত্ত ঋণ প্রকৃত কৃষকদের মাঝে বিতরণ ও কারিগরী সাপোর্ট সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে ঋণের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি “কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি” শিরোনামে প্রণীত একটি নীতিমালা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন এর নিকট হস্তান্তর করেন। নির্বাহী পরিচালক মহোদয় সংস্থা কর্তৃক বিগত ২০১৫ সাল হতে বাস্তবায়নাধীন এসএমএপি প্রকল্পের আওতায় চলমান ঋণ কাযক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এবং ঋণ প্রবাহ অব্যাহত রাখার জন্য মহাব্যবস্থাপক মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি আকষণ করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন জনাব মোঃ আব্দুল হাকিম, মহাব্যবস্থাপক ও বিভাগীয় প্রধান (কৃষিঋণ বিভাগ), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং তিনি “কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি” শিরোনামে প্রণীত একটি নীতিমালা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন এর নিকট হস্তান্তর করেন।  

মাঠ পর্যায়ে এসএমএপি প্রকল্পের কর্মকান্ড পরিদর্শনের অংশ হিসেবে মহাব্যবস্থাপক মহোদয় বগুড়া জেলাধীন শিবগঞ্জ উপজেলার গুঁজিয়া মডেল শাখা পরিদর্শন করেন। শাখা পরিদর্শনকালে তিনি একটি “আনুষ্ঠানিক কৃষক প্রশিক্ষণ” এর উদ্বোধন করেন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি প্রশিক্ষণে উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, উন্নতমানের বীজ, অধিক পরিমাণ জৈব সার এবং সীমিত পরিমাণ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে অধিক পরিমাণ নিরাপদ শস্য উৎপাদন ও শস্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করা। পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গৃহীত ঋণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ রাইহানুল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং জনাব মোঃ আনোয়ার মোরশেদ, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক। সংস্থার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ মাহবুব আলম, সিনিয়র পরিচালক, জনাব মোঃ আবু রায়হান মিঞা, পরিচালক, এসএমএপি প্রকল্প, জনাব মোঃ হাসান আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম পরিচালক, এসএমএপি প্রকল্প ও কৃষিবিদ জনাব মোঃ সানাউল হক।

জনাব মোঃ আব্দুল হাকিম, মহাব্যবস্থাপক ও বিভাগীয় প্রধান (কৃষিঋণ বিভাগ), বাংলাদেশ ব্যাংক শিবগঞ্জ উপজেলাধীন গুঁজিয়া মডেল শাখায় “আনুষ্ঠানিক কৃষক প্রশিক্ষণ” এর উদ্বোধন শেষে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

আনুষ্ঠানিক কৃষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন শেষে মহাব্যবস্থাক মহোদয় প্রকল্পের আওতায় সফল ঋণী/চাষীর মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন এবং একই জমিতে উন্নত জাতের কুল ও মালটা চাষ দেখে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ ছাড়াও তাঁরা কয়েকজন সফল চাষীর জমিতে চাষকৃত ফসল ও কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মহাব্যবস্থাক মহোদয় সফল চাষীর জমিতে চাষকৃত ফসল ও কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার সরেজমিনে পরিদর্শন করছেন।

পরবর্তীতে ১৬ জানুয়ারী ২০২২ তারিখ সকাল ১০ টায় মহাব্যবস্থাপক মহোদয় ও তাঁর সফরসঙ্গীগণ বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলাধীন মাদলা ইউনিয়নের অন্তর্গত দড়িনন্দ গ্রামে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গাক চক্ষু হাসপাতাল কর্তৃক আয়োজিত ও মাদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আতিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প” এর উদ্বোধন করেন। চক্ষু ক্যাম্পে আগত চক্ষুরোগী বিশেষ করে দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চক্ষু রোগের সেবা প্রদানের জন্য তিনি গাক চক্ষু হাসপাতাল তথা সংস্থার এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মহাব্যবস্থাপক মহোদয় মাদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত  এবং গাক চক্ষু হাসপাতাল কর্তৃক আয়োজিত   “ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প” এর উদ্বোধন করেন।

ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে মহাব্যবস্থাপক মহোদয় ইফাদ, পিকেএসএফ এবং গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) এর যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন PACE প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট “পল্লী মিট এ্যান্ড এগ” পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য প্রকল্পের আওতায় “দেশি মুরগির ফর্টিফাইড ডিম ও নিরাপদ মাংসের বাজার উন্নয়ন” উপ-প্রকল্পটি ২০১৮ সাল হতে বগুড়া জেলাধীন বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। প্রকল্পের আওতায় ৬টি দেশি মুরগির প্যারেন্ট স্টক ও ৬টি মিনি হ্যাচারী স্থাপন করা হয়েছে। ১১ হাজার সদস্য এবং ২০০ জন স্থানীয় সার্ভিস প্রভাইডার দেশি মুরগি সম্প্রসারণ ও বাজারজাতকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্টটি পরিদশন করে মহাব্যবস্থাপক মহোদয় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্লান্টটির মাধ্যমে স্থানীয় ছোট ছোট খামারীদের আয় বৃদ্ধির পথকে সুগম করার পাশাপাশি ভোক্তাদের নিরাপদ মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিশেষে এ ধরণের কর্মকান্ড ও উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়ার জন্য উদ্যোক্তা জনাব সোয়াইব আহমেদ এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সাফল্য কামনা করেন।

মহাব্যবস্থাপক মহোদয় ইফাদ, পিকেএসএফ এবং গাক এর যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন PACE প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট “পল্লী মিট এ্যান্ড এগ” এর কর্মকান্ড পরিদর্শন করছেন।